নিজস্ব প্রতিবেদক : [channel7bd.com] বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০৩, উত্তরা দিয়াবাড়ী, ফিটনেস বিহীন ও পরিত্যক্ত গাড়ী সনদ ইস্যু রমরমা বাণিজ্য চলমান। এ বিষয়ে গত ৩রা মার্চ ২০২৫ইং তারিখ সড়ক ও জনপদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন, পিতা-আব্দুল গণি।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, কায়সার আলম বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০৩, উত্তরা, ঢাকা এর মটরযান পরিদর্শককে ব্যবহার করে সহাকরী পরিচালক বসির আহম্মেদ ঠান্ডা মাথায় প্রতিদিন দালাল এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ ভাবে গাড়ীর ফিটনেস দিয়ে মানুষের জীবনের হুমকি ও প্রাণ হানী সৃষ্টি করেন এবং রাস্তায় অবৈধ গাড়ী চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি মূলত একজন দালাল নির্ভর বিআরটিএ এর মটরযান পরিদর্শক। তার শাখার সহকারী পরিচালক বসির আহম্মেদের অনুপ্রেরনায় গোপনে দালাল হোসেল, দালাল মিজান, দালাল বাবুল, দালাল জনি, দালাল আকরাম, দালাল বাবু, দালাল রাসেল সহ আরো কয়েক ডজন দালাল এর সহযোগীতায় গাড়ী ফিটনেস দেওয়ার পূর্বেই তিনি ঘুষের টাকা বুঝে নিয়ে গাড়ী পরিক্ষা নিরীক্ষা না করে ফিটনেস ইস্যু করে থাকেন।
ফিটনেস বিহীন ও পরিত্যাক্ত এবং আনসিন গাড়ী ফিটনেস দিতে গাড়ী প্রতি সর্ব নিম্ন ৩০০০ হাজার এবং সবোচ্চ ৫০০০ হাজার টাকা দালাল এর মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে থাকেন। তার বর্তমান অবস্থা এত বেগতিক যে তিনি টাকা ছাড়া কোন ফিটনেস সনদ এ স্বাক্ষর করেন না। তিনি গ্রাহকদের হয়রানি করার জন্য দালাদের লেলিয়ে দিয়েছেন। তার ফিটনেস দেওয়ার গাড়ীগুলোর তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো। ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০৪২২, ঢাকা মেট্রো-ড-১১-৯৮১৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৫৬৯, ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৮২২৯, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৫৩৯৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-১২৬৮, ঢাকা মেট্রো-ড-১২-২২৩১, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০১২৫, ঢাকা মেট্রো-ট-১২-৭২৬৪, ঢাকা মেট্রো-ট-২০-১৫৪৬, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৫২৩৯, ঢাকা মেট্রো-ড-১১-৫২৬১, ঢাকা মেট্রো-স-১১-০৬৯২, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৬৪০৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৯৮৭৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৩০১৫, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৯৬৫০, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৬৫১৩, ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৮১৬, ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬৪২৬, ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৬৭২৪, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৬৭০৮, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৬৭০৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৫১৮৪, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-১২৫৯, ঢাকা মেট্রো-ড-১২-১৬১৯, ঢাকা মেট্রো-ট-১১-০৫৭৬, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৫০৪৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৯০২, ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৮০৬১, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০০৩৪, ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৯০৯৬, ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৪৯৮৫, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪০৪৩, ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৪৫০৩, ঢাকা মেট্রো-ট-২০-২৮৯৩, ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৫২৩৭, ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-১০১২, ঢাকা মেট্রো-ম-১১-২০৯৯, ঢাকা মেট্রো-ম-১১-৩৩৩০, ঢাকা মেট্রো-অ-১১-০০৩৩, ঢাকা মেট্রো-গ-২২-৯০০৪, উপরোক্ত গাড়ীগুলো গত ২৭/০২/২০২৫ইং তারিখ ফিটনেস দিয়ে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ফিটনেস শাখার সহাকারী পরিচালক বশির আহম্মেদ। তারা দিন শেসে দালালদের নিকট ঘুষের টাকার সিড়িয়াল অনুযায়ী বুঝিয়ে নেন।
তাদের বিষয়ে ইতিপূর্বে কয়েকটি অভিযোগ সংশ্লিস্ট কয়েকটি দপ্তরে জমা পড়েছে। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মাজেদ, ও আব্দুল করিম সহ আরো কয়েকজন গ্রাহক তাদের ভোগান্তির কথা প্রতিবেদককে জানান। তারা কায়সার আলম বসির আহম্মেদকে বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-০৩ থেকে অপসরাণসহ শাস্তি কামনা করেন।