ইসরাইলকে সিরিয়ার নতুন সরকারের বার্তা: শান্তি ও সহাবস্থানের আহ্বান

অনলাইন ডেক্স: সিরিয়ার নতুন সরকার ইসরাইলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা দ্বন্দ্ব নয়, বরং শান্তি এবং সহাবস্থান চায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) নেতা আহমেদ আল-সারার সম্প্রতি এনপিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। টাইমস অব ইসরাইল এ খবর প্রকাশ করেছে।

আহমেদ আল-সারার বলেন, “বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরাইল সীমান্ত ইস্যুতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল, যা স্বাভাবিক। এ কারণেই ইসরাইলি সেনারা সিরিয়ায় ঢুকে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা চালায়।

শান্তির বার্তা
দামেস্কের গভর্নর বলেন, “আমাদের ইসরাইলের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। যারা সহাবস্থান চায়, তাদের জন্য আমাদের দ্বার উন্মুক্ত। ইসরাইল শান্তি চায়, আমরাও শান্তি চাই। আমরা ইসরাইলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে হাঁটতে চাই না।”

সীমান্ত পরিস্থিতি
গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দামেস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। এর পরপরই ইসরাইলি বাহিনী সিরিয়ার গোলান মালভূমির বাকি অংশ দখল করে নেয়। সীমান্তের বাফার জোনেও প্রবেশ করে তারা।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “নতুন করে সিরিয়ার যেসব ভূখণ্ড আমাদের দখলে এসেছে, সেখানে ইসরাইলি সেনারা অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকবে।” তবে তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখল করা গোলান মালভূমির অংশগুলো এখনও ইসরাইলের দখলেই রয়েছে।

দ্বন্দ্ব নয়, শান্তির প্রত্যাশা
সিরিয়ার নতুন সরকার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর জোর দিয়েছে এবং ইসরাইলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্ব এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করে, সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

বিশ্লেষকদের মন্তব্য
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ার নতুন সরকারের এই শান্তির বার্তা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এই অঞ্চলে ইসরাইলের ভূখণ্ড দখলের নীতি এবং ভৌগোলিক আধিপত্যের ইচ্ছা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *