বিশেষ প্রতিনিধি: হিজবুল্লাহ একটি শক্তিশালী সামরিক গোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠেছে, যার অস্ত্র ভাণ্ডার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের অস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল, ড্রোন, এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি। এখানে হিজবুল্লাহর সাম্প্রতিক অস্ত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো:
ড্রোন ও মিসাইল
হিজবুল্লাহ সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে S-5 মিসাইলসহ ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই ড্রোনগুলি ইসরায়েলি সামরিক যানবাহন ও সেনাদের উপর আক্রমণ চালায়, যা সরাসরি আঘাত হানে। এটি প্রথমবারের মতো হিজবুল্লাহ এই ধরনের ড্রোন ব্যবহার করেছে যা মিসাইল বহন করতে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট
হিজবুল্লাহর হাতে প্রায় ১৫০,০০০ থেকে ২০০,০০০ রকেট, মর্টার বোমা এবং মিসাইল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরানি Fateh-110 শর্ট-রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল (SRBM), যা ২৫০-৩০০ কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এছাড়াও, সিরিয়ার M-600 মিসাইল, রাশিয়ান Kornet অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল (ATGM (Al-Monitor)ইম্প্রোভাইজড রকেট-অ্যাসিস্টেড মিউনিশন (IRAM) রয়েছে।
ড্রোন
হিজবুল্লাহ বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে থাকে, যার মধ্যে একমুখী বিস্ফোরক ড্রোনও রয়েছে। সম্প্রতি তারা বোমা ফেলতে সক্ষম ড্রোন ব্যবহার করছে, যা লক্ষ্যে আঘাত করে ফিরে আসে। এই ড্রোনগুলির মধ্যে Ayoub এবং Mersad মডেলগুলি উল্লেখযোগ্য, যা সহজে উত্পাদিত হয়।
অ্যান্টি-শিপ মিসাইল
হিজবুল্লাহর অস্ত্র ভাণ্ডারে রাশিয়ান তৈরি Yakhont অ্যান্টি-শিপ মিসাইল রয়েছে, যা ৩০০ কিমি দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। ২০০৬ সালে তারা একটি ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজে আঘাত হানে, যা তাদের অ্যান্টি-শিপ মি (FDD)মতা প্রমাণ করে।
বিমান প্রতিরক্ষা
হিজবুল্লাহ বেশ কয়েকবার ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে তারা প্রথমবারের মতো অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট অস্ত্র ব্যবহার করে। এছাড়াও, তারা ইসরায়েলি Hermes 450 এবং Hermes 900 ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।
হিজবুল্লাহর এই ব্যাপক অস্ত্র ভাণ্ডার তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং ইসরায়েলের সাথে চলমান সংঘর্ষে তাদের কৌশলগত (Al Arabiya English)করেছে। ইরান ও সিরিয়ার থেকে প্রাপ্ত অস্ত্র ও প্রযুক্তি তাদের সামরিক ক্ষমতা আরও উন্নত করেছে। (Al Arabiya English)