বিশেষ প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, তাহলে তিনি অবশ্যই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন। গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হওয়া হামলাগুলো পরিকল্পিত নয় বরং বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি জানান, কিছু মানুষ এই হামলাগুলোকে ব্যবহার করে চলমান পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অসাধারণ,” এবং এ ধরনের হামলা দেশের শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশকে বিনষ্ট করার জন্য কিছু মানুষের চেষ্টার অংশ।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সেনাবাহিনী এমন কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই সম্পর্ককে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবে।
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শেখ হাসিনার সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যে সরকার অনেক মানুষকে হত্যা করেছে এবং তাঁর সময়ে নজিরবিহীন দুর্নীতি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ন্যায়ের পক্ষে না থাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চরমপন্থীদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলনে এমন কিছু ছিল না এবং জামায়াতে ইসলামীর চরমপন্থী দল নয়। তিনি দাবি করেন, আন্দোলনটি ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত এবং তাঁদের অধিকাংশই অতি প্রগতিশীল ও মেধাবী।
মির্জা ফখরুল বলেন, যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাসভবনের দিকে যাত্রা শুরু করেন, তখন তাঁর সামনে দুটি বিকল্প ছিল: থেকে যাওয়া এবং বিক্ষুব্ধ জনতার মুখোমুখি হওয়া অথবা দেশ ছেড়ে যাওয়া। শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সময় প্রয়োজন, কারণ পুরো নির্বাচনব্যবস্থা এখন দূষিত। তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) নির্বাচনব্যবস্থায় সংস্কার আনার প্রয়োজন রয়েছে।