ভালুকায় আখের রস পানে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি

জেলা প্রতিনিধি: ভালুকা উপজেলায় প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে ওঠা পথচারী ও শ্রমজীবীরা প্রাণ জুড়াতে হাতে তুলে নিচ্ছেন রাস্তার পাশে  ধুলো বালি যুক্ত অস্বাস্থ্যকর  খোলা অবস্থায় রাখা  আখের রস । এ আখের রস  সাময়িক তৃষ্ণা মেটালেও এতে মেশানো হচ্ছে ঘনচিনি, যা পান করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন  মানুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভালুকা পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার, পাঁচ রাস্তার মোড়, গফরগাঁও রোড ও মাস্টারবাড়ী, সিডষ্টোর এবং মল্লিকবাড়ী ব্রিজ এলাকায় বেশ কিছু  ও আখের রসের দোকান রয়েছে। তবে  ভালুকা পৌর এলকার বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাস্তার পাশে  ১০থেকে ১২টি আখের রসের মেশিন বসিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি করছেন আখের রস।

প্রতিদিন সকাল থেকে  রাত পর্যন্ত  এসব দোকানে তৃষ্ণা মেটাতে ভিড় করছেন তৃষ্ণার্ত মানুষ। আখের রস মিষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ঘনচিনি, যা মানবদেহে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে।  বিক্রেতাদের মতে, গরম যতই বাড়ে, তাদের বেচাবিক্রিও ততই বেড়ে যায়। রাস্তার পাশে খোলা পরিবেশে এসব আখের রস বিক্রি করা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, জানতে চাইলে আখের রস বিক্রেতা আলামিন বলেন, ‘আমরা ভালো মানের আখ রসের জন্য ব্যবহার করি। তবে এতো গুলো আখের মধ্যে কিছু আখ লালচে পচন ধরার মত থাকতে পারে। আখ মিষ্টি কম হলে ক্রেতারা রস খেতে চায় না। । তাই ঘনচিনি ব্যবহার করি। এমনকি আখের রসের শরবত ঠান্ডা করতে বরফ ব্যবহার করি। ঘনচিনি ব্যবহারের বিষয়ে রস বিক্রেতা জানান, ঘনচিনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, সেটা তার জানা নেই। আরেক বিক্রেতা রুবেল মিয়া জানান, আমি প্রতিদিন আখের রস বিক্রি করি। রসে ঘনচিনি ব্যবহার করি।  আখ মিষ্টি হলে ঘনচিনি ব্যবহার করতে হয় না । তবে রাস্তার পাশে আখের রস বেশি বিক্রি হয়। রাস্তার পাশের দোকানে ধুলু বালি থাকবেই। আখের রস পান করতে আসা অটোচালক মানিক মিয়া  বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। 

বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে আখের রসের দোকান থেকে রস কিনে খাচ্ছি। আখের রস পান করতে আসা পথচারী ফকরুল হাসান জানান, গরমে আখের রস খেলে ভালোই লাগে। তবে আখের রসের মিষ্টি করার জন্য ঘনচিনি মারাত্মক ক্ষতি কর তা জানা ছিলনা।  এখন থেকে রাস্তা ঘাটের  ধুলো বালি যুক্ত রস পান করবো না।ভালুকা পৌরসভার   নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক (স্যানিটারি ইন্সপেক্টর) মো: শাহাবুদ্দিন  জানান, খোলা অবস্থায় রাখা এসব আখের রস অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের আখের রস মানুষের  স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রস বিক্রি যাতে না করতে পারে। সে ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *