বিশেষ প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি সারা দেশে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। তিনি জানান, কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজি চলতে দেওয়া হবে না।
সোমবার, ২৬ আগস্ট, বান্দরবান সার্কিট হাউসে বান্দরবান জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের পরিকল্পনার আওতায় সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস করা সম্ভব নয়, তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ২ জন ছাত্র প্রতিনিধিকে রাখা হতে পারে।
তিনি জানান, খুব শিগগিরই বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করা হবে, যারা এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
এছাড়া, কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্দেহে গ্রেফতার সাধারণ বমদের মুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা সমতলের চেয়ে পিছিয়ে, যার কারণে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ে। তাই, পার্বত্য অঞ্চলের দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা ও পরিবেশ উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, বান্দরবান পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে, সুপ্রদীপ চাকমা বান্দরবান জেলার সুশীল সমাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।