নিজস্ব প্রতিনিধি : দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর বর্তমান বোর্ডের অবৈধ চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন (সমবায় আইন, বিধি, উপআইন ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লংঘন করে সমবায় অধিদপ্তরের কাজী মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ গং তাকে চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে দিয়েছে। তার চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কনটেম পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।পিটিশন নং-২৭/২০২৪।) ঋণ বিতণের মূল কার্যক্রম বাদ দিয়ে সারাদেশে জমি ক্রয় করা শুরু করেছে। এক সময়ের জমির দালাল আগষ্টিন পিউরিফিকেশন কালবে জমি ক্রয়ের ছলে লুটের মহোৎসব শুরু করেছেন।বোর্ড সদস্যদের মতামতের তোয়াক্কা না করে একক সিদ্ধান্তে জমি ক্রয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি নিজের বডিগার্ডকে পাওয়ার অব ্এটর্নী করে জমি কিনে দেদারছে লুটপাট করে যাচ্ছে। আগষ্টিন পিউরিফিকেশন’র ”মন্ত্রীদের সাথে চলাফেরা” ও তার অর্থ পেশিশক্তির ভয়ে বোর্ড সদস্যরা সব নিরবে সয়ে যাচ্ছেন।
জমি ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে এখন রংপুরের জমি ক্রয় নিয়ে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,রংপুরের জমি ক্রয় নিয়ে কালবের ক অঞ্চলের পরিচালক জিল্লুর রহমান ও রংপুর ক্লাস্টার কমিটির সভাপতি জুয়েল কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিশনে নেমেছে। এই জমি ক্রয়ে কালবের ভাইস চেয়ারম্যান দ্বিমত পোষন করায় রংপুর ক্লাস্টার কমিটির সভাপতি জুয়েল তাকে হুমকিও দিয়েছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গুপ্ত পাড়ায় ১৭ শতাংশ জমি কেনার জন্যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান সহ বোর্ডের সংখাগরিষ্ঠ সদস্য চড়া মূল্যে জমি কেনার বিরেধিতা করলেও চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তে জমির মূল্য ৩৫ লাখ টাকা শতাংশ নির্ধারন করেন। এনিয়ে বোর্ড সদস্যদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে আগষ্টিন পিউরিফিকেশন’র দুর্নীতির প্রধান সারথী কালবের ট্রেজারার নরেশ চন্দ্র বিশ^াস। তিনি চেয়ারম্যানের সকল অনৈতিক সিদ্ধান্তকে আগ বাড়িয়ে সমর্থন করেন।
গুপ্ত পাড়ার স্থানীয় জমির মালিক ও ব্রোকারদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে,এখানে জমির সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ পর্যন্ত। তাহলে জমি ক্রয় কমিটি ও বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসানী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন একক সিদ্ধান্তে ৩৫ লাখ টাকা দরে ক্রয় করার কেন সিদ্ধান্ত নিলেন। খোঁজ নিয়ে চড়া দামে জমি ক্রয়ের রহস্য জানাগেছে। কালবের ক অঞ্চলের পরিচালক জিল্লুর রহমান-কে একটি বিশেষ কাজের পুরস্কার হিসেবে চেয়ারম্যান জমি ক্রয়ের ছলে কোটি টাকা আয়ের সুযোগ দিয়েছেন।
সূত্রমতে,৪ জুন কালবের বোর্ড সভায় কালবের ক অঞ্চলের পরিচালক ও ইন্টারনাল অডিট কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান উক্ত”বিশেষ কাজ”টি সম্পাদন করেন। তিনি চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্দেশিত ও পরিচালিত একটি ফরমায়েসি ইন্টারনাল অডিট রিপোর্ট পেশ করেন। যাতে বিদ্যমান সমবায় আইন,বিধি,কালবের উপ-আইন ও দীর্ঘ দিনের অনুসৃত নীতি ভঙ্গ করে শিষ্টাচার বিবর্জিত একটি বালখিল্য অডিট রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টে মৌলিক বিষয় বাদ দিয়ে প্রতিহিংসাবশত ব্যক্তিকে আঘাত হানার অপচেষ্টা করা হয়েছে।এমনকি ইন্টারনাল অডিট রিপোট -এ বিগত বোর্ডের অনিয়ম তুলে ধরলেও বর্তমান বোর্ডের শত অনিয়ম দুর্নীতি থাকা সত্ত্বেও তা তুলে ধরা হয়নি। আর এহেন অপকর্মের ইনাম স্বরুপ জমি ক্রয়ের সুবাদে কোটি টাকা হাতানোর সুযোগ পেয়েছেন সদা নতজানু জিল্লুর রহমান।
বর্তমান বোর্ডের জমি ক্রয়ের সকল অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন কালবের সচেতন ডেলিগেটগণ।