বিশেষ প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন যে, দেশের অর্থনীতি বিভিন্ন কারণে শ্লথ হয়ে পড়েছে, এবং এর প্রধান লক্ষ্য হবে অর্থনীতিকে যত দ্রুত সম্ভব পুনরুজ্জীবিত করা। তিনি বলেন, অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গেলে তা পুনরায় চালু করা বেশ কঠিন হয়ে যায়, এবং আমাদের লক্ষ্য হবে এটি থমকে যেতে না দেওয়া। শপথ গ্রহণের পর শনিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম অফিস করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অনেক সমস্যা বিদ্যমান, যার মধ্যে ব্যাংকিং খাতের সংকট ও মূল্যস্ফীতির চাপ অন্যতম। এ ধরনের জটিলতার সমাধানে কাজ করতে হবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব পালন করতে হবে, শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নয়, ব্যাংক খোলা, বন্দর চালুসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে কতটা সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৌলিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে বেশি সময় লাগবে না। অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ লাইনচ্যুত হয়নি, বরং গতি হারিয়েছিল, যা পুনরুদ্ধার করা হবে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, সামষ্টিক অর্থনীতি এবং উন্নয়ন কৌশলে কিছু ভুল ছিল, যার ফলে মানুষ উন্নয়নের পুরো সুফল পায়নি। সরকার চায় সমতাভিত্তিক ও ন্যায্য প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, যাতে সব মানুষের জীবন-জীবিকা উন্নত হয়।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি থমকে গেলে তা পুনরায় সচল হতে সময় লাগে, যেমনটি একটি গাড়ির ক্ষেত্রে হয়। ব্যাংকিং খাতে চাপে পড়া সত্ত্বেও সঠিক নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা থাকলে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য হবে একটি মসৃণ পথ তৈরি করা, যাতে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি একটি সংবেদনশীল পদ, এবং পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া, ব্যাংকিং কমিশন গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হওয়ার পরই সংস্কারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। অর্থপাচার প্রসঙ্গে তিনি জানান, তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।